গোলাম আলী খান : সমাজ যত আধুনিক হচ্ছে ততই বদলাচ্ছে সম্পর্কের সমীকরণও। মানুষের ব্যক্তি জীবন কেমন হবে তা সমাজের প্রচলিত রীতিনীতি নয়, বরং ঠিক করবে ব্যক্তি মানুষই। আর এমন ধারনাই যেন প্রবলতর হচ্ছে। কে না জানে সমাজবদলে সব সময়ই অগ্রণী ভূমিকা নেয় যুবসমাজ।
সম্প্রতি বিবাহ, সম্পর্ক বা সহবাসের মতো বিষয়গুলি নিয়ে একটি জনপ্রিয় ডেটিং অ্যাপের করা সমীক্ষা বলছে বিবাহ নয়, সম্পর্কের যাপনে নতুন প্রজন্মের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য সহবাস।
একটি জনপ্রিয় অনলাইন ডেটিং সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী ৩০ বছরের কম বয়সি নারী পুরুষের মধ্যে ৬৩ শতাংশই নিজের সঙ্গীর সঙ্গে সহবাসে আগ্রহী। তাদের দাবি ভবিষ্যতে যদি বিবাহিত জীবন কাটাতেই হয় তবে এই সহবাস একে অপরকে বুঝে নিতেও সাহায্য করবে। অন্যদিকে তিরিশের বেশি বয়সি প্রায় ৫৫ শতাংশ ব্যক্তি আগ্রহী বিবাহে। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৩০ বছরের কম বয়সি ব্যক্তিদের মধ্যে কেবল ২৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন বিবাহ সহবাসের থেকে ভাল।
কিন্তু কেন এই প্রবণতা? সমীক্ষার তথ্য বলছে ৭৪.৬ শতাংশ ব্যক্তির মতে, সহবাস নিজেদের পেশাদার জীবনকে কম প্রভাবিত করে। শতকরা ৬৯ জনের মতে যে কোনো সম্পর্ক থেকে বেরোনোই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে মানুষকে। ফলে বিবাহ বিচ্ছেদের পরের আইনি জটিলতা ও টানাপড়েনের ধকল সামলানো মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। আবার সামাজিক ভাবেও এখনো বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে নানা রকম ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।
তবে সহবাস নিয়ে এখনো একটি প্রচলিত ধারণা রয়েছে যে এটি নিছকই যৌনতার উদযাপন। এই ধারণা যে একেবারেই ঠিক নয় তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী নারী-পুরুষেরা। ৭০.৫ শতাংশ ব্যক্তিই জানাচ্ছেন যে শারীরিক চাহিদা নয়, বরং ভালবাসা ও দুজনে একসঙ্গে থাকার ইচ্ছাই তাদের এক সঙ্গে থাকতে চাওয়ার মূল কারণ।
Leave a Reply