এম এ আউয়াল,সুইন্ডন থেকে : বাংলাদেশ এসোসিয়েশন সুইন্ডনের উদ্যোগে স্থানীয় পারিংডন পার্কে কমিউনিটির প্রাণের মেলা ঐতিহ্যবাহী ‘বৈশাখী মেলা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ই মে ২০২৩ রবিবার অনুষ্ঠিত এই বৈশাখী মেলায় সুইন্ডনে বসবাসরত বাংঙালী ও অন্যান্য ভাষা—ভাষীদের এক মহামিলন মেলা।গত দুই বারের অভুক্তপূর্ব সাফল্যের পর তৃতীয় বারের মত এই আয়োজন ছিল আরো ব্যাপক । এসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ কাহার বলেন, ইংল্যান্ডে জন্ম নেয়া ও বেড়ে উঠা বাংলাদেশি নতুন প্রজন্মকে ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়াই এই মেলার প্রধান উদ্দেশ্য।
শুরুতেই প্রধান অতিথি সুইন্ডনের মেয়র কাউন্সিলার আব্দুল আমিন উপস্থিত সকলকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান।শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মজম্মিল আলী, সাবেক সহ সভাপতি নোয়াব আলী, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব কাদির মিয়া, আহাদ আলী, ডাঃ রাফি আহমেদ, স্বপন রায় ও সুমন রায়।
তরুণ কমিনিউনিটি নেতাদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন রকীব আলী, মেহরান চৌধুরী ও ওয়ালিদ মিয়া হেলাল। মহিলাদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ইয়াছমিন চৌধুরী মনি, চম্পা সাহা, কাকলী দাস।স্থানীয় একঝাঁক প্রতিভাবান সংস্কৃতি কর্মীদের মন মাতানো গান নাচ ফ্যাশন শো ও শিশুদের পারফরমেন্স ছিল মেলার মূল আকর্ষণ।সুইন্ডন বাংঙালীয়ানার পক্ষে সংস্কৃতি অনুষ্ঠান পরিচালনা ছিলেন শাহানুর চৌধুরী রানা। সংগীত পরিবেশনায় ছিলেন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী বাউল আব্দুল শহীদ, মমতা দাস, আশরাফ চৌধুরী, আব্দুল রশীদ, বিথী সাহা, আনন্দিতা রয় সহ আরও অনেকে।
এবারের মেলা প্রাঙ্গণ দর্শক—অতিথিতে ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। শুধু ইংল্যান্ডপ্রবাসী বাঙালিরাই নয়, অন্যান্য ভাষা—ভাষী অতিথিদের উপস্থিতিও ছিল উল্লেখযোগ্য। দূর—দূরান্ত থেকেও মেলায় অগণিত দর্শকদের সমাগম ঘটে। ইংল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট শিশু থেকে শুরু করে প্রবীণরাও বৈশাখী সাজে সজ্জিত হয়ে মেলাতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও মেলায় উপস্থিত হয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশি রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, পত্রিকার সম্পাদকক, টিভি সাংবাদিক, লেখক, সাহিত্যিক, কবি ও সুশীল সমাজসহ সর্বস্তরের প্রবাসী বৃটিশ বাংলাদেশিরা।
ঐতিহ্যবাহী এই ‘বৈশাখী মেলা’ প্রাঙ্গণের চারিদিক ঘিরে ছিল বাঙালি খাবার ও দেশীয় পোশাকের নানাবিধ স্টল। খাবারের স্টলগুলোতে ছিল নানা ধরনের মুখরোচক দেশীয় খাবারসহ পুরি, চটপটি, পিঁয়াজু, হালিম, জিলাপি, সিঙ্গারা বিরিয়ানি সহ রকমারি পিঠা ও মিষ্টি। আর তৈরি পোশাকের স্টলগুলোতে ছিল সালোয়ার কামিজ, জামদানি ও অন্যান্য তাঁতের শাড়ির বিপুল সমাহার।
বৈশাখী মেলা উপলক্ষে বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। মেলায় বিভিন্ন রকমের রাইড বড় দর্শকদের যেমন গ্রাম্য নাগরদোলার স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে তেমনি ছোট ছোট বাচ্চাদের সারাবেলা আনন্দে মাতিয়ে রেখেছিল। বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের পক্ষে মেলার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন মোস্তাক আহমেদ ও এম এ আউয়াল। সহযোগিতায় ছিলেন সাংগাঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম স্বপন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আকলাকুর রহমান মাসুম, শিক্ষা সম্পাদক মিজান মিয়া, মহিলা সম্পদিকা জিয়াসমিন আরা সোনালী, কার্যকারী সদস্য রাজু মালাকার রাজু।
Leave a Reply