1. admin@ajkallondon.com : Ajkal London : Ajkal London
  2. ajkallondon@gmail.com : Dev : Dev
বাংলাদেশ ও তারেক রহমান এর ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভায় আগামী জুন মাসের নির্বাচন দেয়ার আহ্বান - Ajkal London
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ ও তারেক রহমান এর ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভায় আগামী জুন মাসের নির্বাচন দেয়ার আহ্বান

রিপোর্টার নাম
  • প্রকাশিত : বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ৪৫ বার ভিউ

কমিউনিটি প্রতিবেদক: যুক্তরাজ্য বিএনপির আয়োজনে “আগামীর বাংলাদেশ ও তারেক রহমান এর ভাবনা” শীর্ষক আলোচনা সভা ৩০ ডিসেম্বর সোমবার পূর্ব লন্ডনের একটি হলে অনুষ্ঠিত হয়।বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি এম এ মালিকের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খসরুজ্জামান খসরুর পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ, যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সহসভাপতি মুজিবুর রহমান মুজিব, গোলাম রাব্বানী, তাজুল ইসলাম, আবেদ রাজা, এম এ মুকিত, সুইডেন বিএনপির সাধারণ রেজাউল করিম শিশির, যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান, মিসবাহুজ্জামান সোহেল, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মামুন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ, আইনজীবী ফোরামের সাবেক আহবায়ক ব্যারিস্টার তারেক বিন আজিজ, যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সহসাধারণ ফেরদৌস আলম, এডভোকেট খলিলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ, কোষাধক্ষ সালেহ গজনবী, যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি রহিম উদ্দিন, মহিলা দলের আহবায়ক ফেরদৌস রহমান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার হামিদুল হক লিটন আফিন্দী, জাসাসের সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাবেক সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক এনামুল হক লিটন, যুক্তরাজ্য বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ইমতিয়াজ এনাম তামিম, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সহ প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক সোহেল আহমেদ ।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তবে সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ”সবাই বলছেন সংস্কার চাই কিন্তু কেউ কেউ বলছেন যে, নির্বাচন ছাড়া সংস্কার কিভাবে হবে। সংস্কার কি নির্বাচন ব্যতিরেকে? আর যদি নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়ে থাকে, তাহলে নির্বাচনটা করার দায়িত্ব সংবিধান অনুসারে নির্বাচন কমিশনের। সরকারের ও প্রশাসনের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করা। যারা এখন বলছেন নতুন করে কিংস পার্টি করার, আমরা সে ভাবে বলতে চাই না। সবার অধিকার আছে রাজনীতি করার, আমরা তাদের স্বাগত জানবো । কিন্তু নতুন রাজনৈতিক দল হতে হবে সরকারের সাহায্য ছাড়া। সরকারের মধ্যে থেকে রাজনীতি করবেন, সরকারের উপদেষ্টাও থাকবেন, আবার দল গঠন করে সেই দলের জন্য সময় ক্ষেপন করবেন এবং নির্বাচনের জন্য যতদিন আপনারা তৈরী না হবেন ততদিন পর্যন্ত কোন না কোন বাহানা সৃষ্টি করবেন জনগন কিন্তু সেটা বুঝে । কারন জনগন এখন সত্যি সত্যি সার্বভৌম। বাংলাদেশের কন্সটিটিউশনের আর্টিকেল ৭ অনুসারে কন্সটিটিউশন ইজ এ সাইনিং ল এবং বাংলাদেশের জনগন হচ্ছে সেই ধারা অনুসারে রাস্ট্রের মালিক। কিন্তু আরেকটা কথা থেকে যায়, মালিক এক জিনিষ আর ক্ষমতার উৎস আরেক জিনিষ। সকল ক্ষমতা উৎস যদি জনগন হয়, তাহলে সার্বভৌম হচ্ছে জনগন। আর রাষ্ট্র জনগন নিয়ে গঠিত । জনগনের প্রতিনিধি দিয়ে পার্লামেন্ট গঠিত হয় । সেই হিসেবে পার্লামেন্ট ( হাউস অব পার্লামেন্ট) কে বলা হয় সার্বভৌম হাউস। এই পার্লামেন্টে আপনি যা কিছু বলতে পারবেন, আপনার বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে না। কথাটা কিন্তু ব্যাকরণ ভাবে শুদ্ধ হলেও প্রকৃত অর্থে সেটা শুদ্ধ নয়। কারন জনগন যদি সার্বভৌম হয়, তাহলে জনগনের প্রতিনিধিত্ব যারা করে তারা সার্বভৌম হওয়ায় এক্ট করবে অন বিহাফ অফ পাবলিক, জনগনের। এখন তারা যে আইনটা করবে, আমরা বলতে পারি সার্বভৌম পার্লামেন্টের আইন করার ক্ষমতা। কিন্তু সে আইনটি সার্বভৌম নয়। কারন পার্লামেন্ট যদি এমন আইন করে যেটা জনগনের সার্বভৌম এবং কন্সটিটিউশনের এর মুল কাঠামোর বিরুদ্ধে যায়, তবে সেই আইনটি কিন্তু আইন নয়। সে জন্যই ১৫তম সংশোধনী বাতিল হয়েছে। সেটার ব্যাখ্যা দেওয়ার ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের । সেজন্য সুপ্রিম কোর্ট ১৫তম সংশোধনীর ৬টা বিষয় বাতিল করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সম্পর্কিত যেটা ৫৮ (ক) এবং ৫৮ ২য় পরিচ্ছেদে অনুসারে যেটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছিল, বাতিল করে যে বিল এনেছে ১৫তম সংশোধনীতে সেটা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রাস্তা উন্মুক্ত হয়েছে। পুনর্বহাল হয়নি, হবে যেটা ১৩তম সংশোধনীতে বাতিলের ইন জাস্টিস খাইরুল হক যে রায় দিয়েছিল সেটা যদি আবার রিভিউতে জনগনের পক্ষে আসে অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বৈধ ঘোষণা করা হয়। তখন পূর্ণাঙ্গ ভাবে আসবে। তখন জনগনের সার্বভৌম হয়ে, পার্লামেন্টের সার্বভৌম হয়ে, আইন প্রণয়নের ক্ষমতা পার্লামেন্ট পাবে। মূলকথা যদি জনগনের সার্বভৌম হয় তাহলে যারা আজকে বলছে যে আমরা জনগনের প্রতিনিধিত্ব করে একটি রিপাবলিক ঘোষণা করতে চাই, যারা বলছে জনগনের প্রতিনিধিত্ব করে আমরা সংবিধানকে বিলুপ্ত করতে চাই । তারা কি সার্বভৌম ? আমি আজকে আহব্বান জানাবো কোন বাক্তি, কোন গোষ্ঠী, কোন রাজনৈতিক উচ্ছাবিলাসী, কোন সমাজ যেন নিজেদের কে সার্বভৌম মনে না করেন। বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং সংবিধানের রক্ষাকবচ হিসাবে বিএনপি পাতাধার হিসাবে প্রতিভাত হয়েছে। সুতরাং জনগণ যদি বিএনপিকে আস্থায় নিতে চায় আর যদি কোন গোষ্ঠী জনগণের সেই আস্থাকে প্রতিপক্ষ মনে করে, তাহলে আমরা ধরে নেব বিএনপিকে যারা আজকে প্রতিপক্ষ মনে করে তবে তারা হচ্ছে বিএনপির প্রতিপক্ষ।”

প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি আরও বলেন, ”আমরা আপনাদেরকে সহযোগিতা করছি সমালোচনার মাধ্যমে। উনারা মনে করছেন প্রতিপক্ষ। আমরা আপনাদের প্রতিপক্ষ নই, আমরা বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার যাতে স্বাধীনভাবে প্রয়োগ করতে পারে তার পক্ষে। আপনারা ভোটের অধিকার প্রয়োগের করার জন্য কৌশল অবলম্বন করবেন কত দেরিতে ইলেকশন দেয়া যায়। তাই আমরা তো প্রতিবাদ করব। এখন বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাবৃন্দ সময় ক্ষেপন করছেন যাতে নির্বাচন দেরিতে হয়। কেন নির্বাচন দেরিতে করবেন? আপনাদের উদ্দেশ্য কি ? জনগণের লাভ কি ? আজ যেভাবে দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতি হচ্ছে তা তো অনির্বাচিত সরকার থাকার কারণে হচ্ছে। মানুষ এখন বলছে আগে সংস্কার, নাকি আগে সংসার। সাধারণ মানুষ তো আগে সংসারের চিন্তা করে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে যদি রাখতে না পারেন তাহলে জনগণ কি নির্বাচনকে দেরিতে করার জন্য সময় দিবে? অবশ্যই দিবেন না। সুতরাং যদি সর্ষের মধ্যে ভুত থাকে তাহলে আমরা এখনো মনে করি ভুত তাড়ান। আপনারা গণতন্ত্রের প্রক্রিয়া আসুন, রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সেই প্রক্রিয়াটা তরান্বিত করুন । নির্বাচনমুখী সমস্ত সংস্কার গুলো ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একই সাথে করুন এবং আগামী জুন মাসের ভিতর নির্বাচিত সরকার দেয়ার জন্য আপনাদেরকে আহ্বান জানাচ্ছি। এটা যথেষ্ট যৌক্তিক সময়।”

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আহমেদ, শাহিন মিয়া, সেলিম আহমেদ (সহ দপ্তরের দায়িত্বে), যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রচার সম্পাদক ডালিয়া লাকুরিয়া, আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ব্যারিস্টার আবুল মনসুর শাহজাহান, লুটন বিএনপির সাবেক আহব্বায়ক আব্দুল হাই, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সাদিক হাওলাদার, সহ প্রচার সম্পাদক মইনুল ইসলাম, সহ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক কদর উদ্দিন, সহ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সোহেল আহমেদ সাদিক, লন্ডন মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ চৌধুরী, সহপ্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফ আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য হেলাল উদ্দিন, মির্জা নিক্সন, শরিফ উদ্দিন ভুঁইয়া, মিসবাউল ইসলাম, সুজাত আহমেদ, তপু শেখ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মিরাজ, আরিফ মাহফুজ, যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল হক রাজ, সহসভাপতি দেওয়ান আব্দুল বাছিত, বাকি বিল্লাহ জালাল, যুগ্ম সম্পাদক নুরল আলী রিপন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ লায়েক মোস্তাফা, আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি ব্যারিস্টার সোহরাব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আবুল হাসনাত, ব্যারিস্টার সেলিম হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম শিমু, সাংগঠনিক সম্পাদক আকমল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের শেখ আতিকুর রহমান, আলিফ মিয়া প্রমুখ।

Google News

নিউজ শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর