তুরস্ক প্রতিনিধি: তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে বাংলাদেশের ৫১তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস।এ উপলক্ষে তুরস্কে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে আঙ্কারার জেডব্লিউ ম্যারিয়ট হোটেলে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান এর আমন্ত্রণে স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, তুরস্কের সংস্কৃতি ও পর্যটন উপমন্ত্রী সেরদার চাম, এবং বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধি ও অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।রাষ্ট্রদূত মান্নান তার উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশ এবং তুরস্কের জনগণের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ মিল রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত মান্নান বলেন, “বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির অগ্রাধিকারে তুরস্কের একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ হিসেবে আমরা আমাদের প্রাচীন সভ্যতা, ভাষা, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বন্ধনের কারণে তুরস্ক এবং এর বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণকে আমাদের হৃদয়ের কাছাকাছি ধারণ করি।”
“তুর্কি খাবার, টেলিভিশন সিরিজ এবং রাজনৈতিক নেতারা বাংলাদেশিদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়” উল্লেখ করে মান্নান আরও বলেন, বেশিরভাগ বাংলাদেশি তুর্কি নেতাদের নাম বহন করে এবং তার দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও পার্কের নামকরণ করা হয়েছে তুর্কি নেতাদের নামে।
বাংলাদেশের রেলপথ মন্ত্রী সুজন বলেছেনঃ “আপনাদের সাথে এখানে এসে এবং বাংলাদেশের ৫১ তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।”
তুরস্কের সংস্কৃতি ও পর্যটন উপমন্ত্রী চাম বলেছেন, “আমাদের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বের পারস্পরিক অনুভূতি আমাদের সম্পর্কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। আমাদের দেশগুলির বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি আমাদের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে আমাদের সম্পর্ক উন্নয়ন ও গভীরতর করা।
Leave a Reply