সুসমিতা সেন : সময়টা বর্ষাকাল। প্রকৃতির খেয়ালে আকাশ কালো করে মেঘ আসে, দিনে-রাতে ঝরঝর বৃষ্টি, বেলি-কদমের গন্ধে মাতোয়ারা হয় মেঘলা মন। এ সব কিছুর প্রভাব দেখা যায় ফ্যাশন ডিজাইনারদের ক্যানভাসে। বর্ষার প্রকৃতি তারা তুলে আনছেন কখনো পুরো শাড়িতে, কখনো আঁচলজুড়ে আবার কখনোবা শাড়ির পাড়জুড়ে। শুধু শাড়ি নয়, পাঞ্জাবিতেও পাওয়া যাচ্ছে বর্ষার প্রকৃতির অসাধারণ রূপ।
প্রকৃতিপ্রেমী ফ্যাশন ডিজাইনাররা বর্ষার রূপকে মসলিনের আর সুতির জমিনে ফুটিয়ে তুলেছেন নানা রকম তুলির টানে। রঙতুলিতে আঁকা শাড়ি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখুন ফেব্রিকের দিকে। মসৃণ শাড়ি বেছে নিতে ভুলবেন না। এসব শাড়ির সাথে বাহুল্যহীন ব্লাউজ-ই মানানসই। জবরজং কিছু না।
অন্যদিকে, বৃষ্টির দিনে কেউ কেউ জর্জেট শাড়ি পরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। বর্ষায় জর্জেট শাড়ির সঙ্গে সুতি প্রিন্টের ব্লাউজ পরা যায়। হাফ হাতা কিংবা হাতা কাটা ব্লাউজের নকশাটি ফুলেল মোটিফের হলে চলতি ঋতুর সঙ্গে ভালো মানাবে। এখন চলছে গোল কিংবা বোট গলার ব্লাউজ। একরঙা ব্লাউজও পরা যেতে পারেন শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে। বর্ষার জর্জেট শাড়ির নকশায় এখন জনপ্রিয় ফুলেল ছাপা। বাদলা দিনে উজ্জ্বল রঙের শাড়িই বেশি মানাবে। এছাড়া জর্জেট শাড়ির আলাদা বিশেষ করে যত্নও নিতে হয়না।
বর্ষায় গাঢ় নীল, হালকা নীল, আসমানি নীল, ময়ূরকন্ঠী নীল, রয়েল ব্লু, নেভি ব্লু শাড়ির নীল জমিনে ফুটে ওঠে ফিরোজা, সাদা, ছাই, সোনালি, খয়েরি, সবুজ, হলুদ, গোলাপির নান্দনিক ডিজাইন। এছাড়া বর্ষায় ফুল, পাতা, নদী বেশ মানিয়ে যায় পাঞ্জাবিতে। সাদা, কালো, ছাই, আকাশি রঙ, মাখন রঙ, পাতা-সবুজ কিংবা নীলে নকশা ফুটে উঠে সুন্দরভাবে পাঞ্জাবিগুলোতে।
সালোয়ার-কামিজের ক্ষেত্রে সুতির বদলে সিনথেটিক ফেব্রিকের কাপড় বেছে নিতে পারেন। বর্ষায় লং ড্রেস না পরাই ভালো। এতে পায়জামার সঙ্গে সঙ্গে কামিজেও কাদা লেগে যায়। বর্ষার দিনে পোশাকের যত্ন নিতে হয় একটু বেশি। নইলে পোশাক নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সে জন্য পোশাকে কাদা লাগলে দ্রুত ধুয়ে নিন। এরপর পুরো কাপড় ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুতে হবে। বর্ষায় ভালোভাবে কাপড় শুকানো দরকার। তা না হলে কাপড় নষ্ট হতে পারে। কাপড় ভালো করে শুকানোর পর ইস্ত্রি করে নিন।
Leave a Reply