সুসিলা গুপ্তা,কলকাতা থেকে: বিয়ের ক্ষেত্রে নিজের পছন্দ-অপছন্দকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন বেশিরভাগ মানুষ। অনেক সময় আবার পরিবার ও অভিভাবকের পছন্দকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন কেউ কেউ। প্রেমের বিয়েতে নিজের পছন্দের মানুষটিকে সঙ্গী হিসেবে পাওয়ার সৌভাগ্য হয়, পূরণ হয় এমন অনেক স্বপ্ন যা দুজনে মিলে দেখা হয়েছিল। প্রেম করে বিয়ে করলে অনেকগুলো সুবিধা পাওয়া যায় নিশ্চয়ই, কিন্তু এর অপকারী দিকও রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
পারিবারিক অসম্মতি: কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রেমের বিয়েতে আপনার পছন্দের মানুষটিকে পরিবার পছন্দ নাও করতে পারে। এটি পরিবার এবং সম্পর্কের মধ্যে চাপ, উত্তেজনা এবং দ্বন্দ্ব তৈরি করতে পারে। একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়তে গিয়ে শুরুতেই নষ্ট হতে পারে আরও অনেক সম্পর্ক।
সাংস্কৃতিক পার্থক্য: আপনি এবং আপনার সঙ্গী যদি ভিন্ন সাংস্কৃতিক পটভূমি থেকে আসেন, তাহলে একে অপরের মূল্যবোধ, ঐতিহ্য এবং রীতিনীতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হতে পারে, যা ভুল বোঝাবুঝি এবং দ্বন্দ্বের কারণ হতে পারে।
আর্থিক সমস্যা: প্রেমের বিয়ে কখনও কখনও আর্থিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসতে পারে, বিশেষ করে যদি উভয় অংশীদার আর্থিকভাবে স্থিতিশীল না হয়। আর্থিক মতবিরোধ সম্পর্কের মধ্যে চাপ এবং দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে পারে।
অবাস্তব প্রত্যাশা: প্রেমে পড়লে সঙ্গীর কাছে আপনার উচ্চ প্রত্যাশা থাকতে পারে এবং কখনও কখনও সেসব প্রত্যাশা বাস্তবসম্মত নাও হতে পারে। বিয়ের পরে সেসব প্রত্যাশা পূরণ না হলে সম্পর্কে তিক্ততা আসে। এতে সম্পর্কের মধ্যে হতাশা দেখা দিতে পারে।
সমর্থনের অভাব: প্রেমের বিয়েতে পরিবারের সমর্থন খুব কমই থাকে। তাই আপনি যখন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেবেন, পরিবারকে কাছে নাও পেতে পারেন। এতে বিয়ে পরবর্তী পথচলা দুজনের জন্য কষ্টকর হতে পারে।
অসঙ্গতি: প্রেমের সম্পর্কে থাকার পরেও হতে পারে আপনারা একে অপরের সঙ্গে মানানসই নন। আবেগে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক সময় পরে পস্তাতে হয়। এতে অনেক সময় বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে।
ব্যক্তিগত ত্যাগ: কোনো কোনো ক্ষেত্রে সম্পর্ককে কার্যকর করার জন্য আপনাকে হয়তো ব্যক্তিগত কোনো লক্ষ্য বা আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে বিরক্তি এবং অসন্তোষ সৃষ্টি করতে পারে।
Leave a Reply