নজরুল ইসলাম,ঢাকা থেকে: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে রাত ৮টার পর শপিং মল ও দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। এই সিদ্ধান্ত অমান্য করলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।সোমবার (১৮ জুলাই) বিকেলে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এই কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক বৈঠকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় করতে আরও কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে ১৯ জুলাই থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং, দিনে এক-দুই ঘণ্টা লোডশেডিং, ডিজেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ, সপ্তাহে এক দিন বন্ধ থাকবে পেট্রোল পাম্প, রাত আটটার পর শপিং মল বন্ধ, সরকারি-বেসরকারি সভা হবে ভার্চুয়ালি এবং অফিসের সময় এক থেকে দুই ঘণ্টা কমানো।
এর আগে গত ২০ জুন থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে রাত ৮টার পর সারাদেশে দোকান, বিপণিবিতান, মার্কেট ও মুদি দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ১৯ জুন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১ থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত দোকানপাট, মার্কেট, বিপণিবিতান বন্ধের সময় রাত ৮টার পরিবর্তে ১০টা করে সরকার। ১০ জুলাইয়ের পর আবার রাত ৮টার মধ্যে দোকানপাট বন্ধের কথা জানানো হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিজনিত বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সানুগ্রহ নির্দেশনা দিয়েছেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১১৪ ধারার বিধান কঠোরভাবে প্রতিপালনপূর্বক সারাদেশে রাত আটটার পর দোকান, শপিংমল, মার্কেট, বিপণি বিতান, কাঁচা বাজার ইত্যাদি খোলা না রাখার বিষয়টি যথাযথভাবে নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
তবে জরুরি প্রয়োজনে রাত ৮টা পরেও খোলা যাখা যাবে কিছু প্রতিষ্ঠান। যেসব প্রতিষ্ঠান হলো- ডক, জেটি, স্টেশন অথবা বিমান বন্দর এবং পরিবহন সার্ভিস টার্মিনাল অফিস, প্রধানত তরি-তরকারি, মাংস, মাছ, দুগ্ধ জাতীয় সামগ্রী, রুটি, পেস্ট্রি, মিষ্টি এবং ফুল বিক্রির দোকান, ঔষধ, অপারেশন সরঞ্জাম, ব্যান্ডেজ অথবা চিকিৎসাসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান, দাফন ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রির দোকান, তামাক, সিগারেট, পান-বিড়ি, বরফ, খবরের কাগজ, সাময়িকী বিক্রির দোকান এবং দোকানে বসে খাওয়ার জন্য নাশতা বিক্রির খুচরা দোকান, খুচরা পেট্রোল বিক্রির জন্য পেট্রোল পাম্প এবং মেরামত কারখানা নয় এমন মোটর গাড়ির সার্ভিস স্টেশন, নাপিত এবং কেশ প্রসাধনীর দোকান, যেকোনো ময়লা নিষ্কাশন অথবা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, যেকোনো শিল্প, ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান যা জনগণকে শক্তি, আলো-অথবা পানি সরবরাহ করে। এছাড়াও ক্লাব, হোটেল, রেস্তোরাঁ, খাবার দোকান, সিনেমা অথবা থিয়েটার।
Leave a Reply