1. admin@ajkallondon.com : Ajkal London : Ajkal London
  2. ajkallondon@gmail.com : Dev : Dev
শিবগঞ্জের এলি স্বামীর অত্যাচার ও হুমকিতে প্রাণনাশের শঙ্কায় - Ajkal London
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০০ পূর্বাহ্ন

শিবগঞ্জের এলি স্বামীর অত্যাচার ও হুমকিতে প্রাণনাশের শঙ্কায়

রিপোর্টার নাম
  • প্রকাশিত : সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২
  • ১৬১ বার ভিউ

ইমরান মাহমুদ,সিলেট থেকে: নগরের নারী উদ্যোক্তা এলি আতিয়া চৌধুরী নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। তার স্বামী নগরের শাহী ঈদগাহ্‌ এলাকার শামসুর রহমান হীরা ও ও ভাসুর এমদাদুর রহমান ফরহাদ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাকে প্রতিনিয়ত অত্যাচার করে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন এই নারী। গতকাল সিলেট প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন। এলি আতিয়া চৌধুরী সিলেট নগরের শিবগঞ্জের সাদিপুর আবাসিক এলাকার আব্দুল বাছিত চৌধুরীর মেয়ে। তিনি নারী উদ্যোক্তা ও বাংলাদেশ ওম্যান চেম্বারের একজন সদস্য। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী সিলেট নগরের শাহী ঈদগাহ্‌ এলাকার মৃত মো. আলাউর রহমানের ছেলে শামসুর রহমান। আমি দু’টি বাচ্চা নিয়ে ১৪ বছর সংসার করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমদিকে আমার স্বামীর পারিবারিক আয় থেকে সংসার চললেও গত পাঁচ বছর থেকে পারিবারিক সম্পত্তি ভাগাভাগি হয়ে যাওয়ায় এবং আমার স্বামী বেকার হয়ে পড়েন। এজন্য আমি নিজেই সংসারের হাল ধরি। বাবার বাড়ি থেকে টাকা ধার-দেনা করে ব্যবসা পরিচালনা শুরু করি।

নিজের ব্যবসার আয় ও বাবার বাড়ির টাকায় বাচ্চাদের পড়াশুনা ও সংসারের খরচ চালাতে থাকি।’ এলি আতিয়া অভিযোগ করেন, ‘নেশাগ্রস্ত হয়ে আমার স্বামী আমাকে প্রায়ই মারধর করতেন এবং ঘর থেকে বের করে দিতেন। বাবার বাড়ি চলে গেলে স্বামীর পরিবারের লোকজন আবার আমাকে বুঝিয়ে নিয়ে আসতেন। এমন ঘটনা বহুবার ঘটেছে।’ তিনি বলেন, ‘নেশাগ্রস্ত স্বামীকে সুন্দরের পথে ফেরানোর প্রাণান্ত চেষ্টা করেছি। প্রায়ই ব্যবসা করবেন এবং বাড়ি বানাবেন বলে আমার বাবার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা এনে দিয়েছি। টাকা না দিলে তিনি নির্যাতন করতেন।’ এই নারী উদ্যোক্তা আরও বলেন, ‘গত এক বছরে মদপান, জুয়া খেলাসহ বিভিন্নখাতে প্রায় ১৩ লাখ টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন হীরা। ঋণ পরিশোধ করতে টাকার জন্য আমাকে চাপ দিতে শুরু করেন। আমার বাবা এভাবে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তখন থেকেই শুরু হয় নির্যাতন। এমনকি স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে গত বছরের ১২ই সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম।’

ধারাবাহিক নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে এলি বলেন, ‘গত বছরের ২৫শে সেপ্টেম্বর আমাকে প্রাণে মেরে ফেলতে টি-টেবিলের বড় কাঁচ দিয়ে আমাকে আঘাত করেন স্বামী হীরা। এ সময় আমাকে রক্ষা করতে দেবর এগিয়ে এলে সেও আহত হয়। ওইদিনই আমাকে ও আমার সন্তানদের ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়। এমন অমানবিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আমি বাচ্চাদের নিয়ে আমার বাবার বাসায় চলে আসি।’ নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্সের আবেদন করেন এলি। এলি বলেন, ‘তিনি আমাকে ডিভোর্সও দিচ্ছেন না। এখন বলছেন যদি যৌতুকের ১৫ লাখ টাকা না দেই তবে আমাকে ডিভোর্স দেবেন না।’ এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে এলি আতিয়া চৌধুরী গত ৩০শে সেপ্টেম্বর একটি যৌতুক মামলা ও ডিভোর্সের আবেদন করেন। এই মামলায় এক সপ্তাহ জেল খাটার পর হীরা জামিনে মুক্ত হয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এলি আতিয়া বলেন- ‘এখন মামলা চালাতে কোর্টেও যেতে পারছি না। পথে তারা আমাকে নানাভাবে বাধা দিচ্ছেন। এখন আমার স্বামী তার বড় ভাইয়ের গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে আমার পরিবারের সদস্যদেরও নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন এবং ঘরবন্দি করে ফেলেছেন।’

Google News

নিউজ শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর