ইমরান মাহমুদ,সিলেট থেকে: প্রবাসি কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি বলেছেন,বঙ্গবন্ধু-মহাত্মা গান্ধীর দু’জনই ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাতিঘর। তাদের আদর্শ ও চেতনা ছিলো এক। সোমবার (০৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে মুজিববর্ষ স্মরণে এবং ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর জন্মের ১৫০ বছর উপলক্ষ্যে সপ্তাহব্যাপী বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন- বঙ্গবন্ধু ও মহাত্মা গান্ধী (বাপু) সারাজীবন মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন।তিনি বলেন, জাতির পক্ষে সংগ্রাম করে বঙ্গবন্ধু ও মহাত্মা গান্ধী দু’জনই দু’দেশের জাতির পিতা হয়েছেন। দু’জনের আদর্শ ও চেতনা ছিল এক। দু’জনকে অনুসরণ করলে জাতি হিসেবে আমরা অনেকদূর এগিয়ে যাবো- বলেও মন্তব্য করেন ইমরান আহমদ। এ সময় তিনি শিক্ষার্থী ও নতুন প্রজন্মকে এই প্রদর্শনীতে আসার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- মন্ত্রী ইমরান আহমদের সহধর্মিণী নাসরিন আহমেদ, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, রেঞ্জ ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ পিপিএম, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ, জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনসহ দুই দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
এর আগে স্বাগত বক্তব্যে ভারতের সহকারী হাই কমিশনার নিরাজ কুমার জয়শওয়াল বলেন- ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে এই অনন্য ডিজিটাল প্রদর্শনীটির আয়োজন করা হয়েছে। তিনি সবাইকে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী ডিজিটাল প্রদর্শনীতে নিয়মিত উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানান। পরে ভারত-বাংলাদেশের উপস্থিত অতিথিবৃন্দ প্রদর্শনীস্থল পরিদর্শন করেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) থেকে প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রদর্শনীর কার্যক্রম চলবে। সপ্তাহব্যাপী এ প্রদর্শনী চলবে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রদর্শনীতে ৫ শতাধিক আলোকচিত্র ও ৭টি ৭১ এর নির্মম জীবনগাথা স্থান পেয়েছে।
সিলেটস্থ ভারতের সহকারী হাই কমিশনের উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী এ আয়োজনে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সিলেট জেলা প্রশাসন।
Leave a Reply