1. admin@ajkallondon.com : Ajkal London : Ajkal London
  2. ajkallondon@gmail.com : Dev : Dev
অবশেষে নগর ছেড়ে সিলেট-৪ আসনে আরিফুল হক চৌধুরী - Ajkal London
বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০২ অপরাহ্ন

অবশেষে নগর ছেড়ে সিলেট-৪ আসনে আরিফুল হক চৌধুরী

রিপোর্টার নাম
  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫
  • ২ বার ভিউ

ইমরান মাহমুদ,সিলেট থেকে: দীর্ঘ দিন ধরেই সিলেট-১ আসনে নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ করে আসছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী। এই আসনের মনোনয়ন পেতে গণসংযোগে মাঠে নেমেছিলেন।

সিলেট-১ আসন না পেলে পুণরায় সিলেট সিটির মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলেও জানিয়েছিলেন সাবেক এই মেয়র। কোনভাবেই সিলেট নগর ছাড়তে চান না বলেও জানেয়েছিলেন তিনি। তবে নগর ছাড়তে ‘অনিচ্ছুক’ আরিফকে সিলেট-৪ আসনের প্রার্থী করছে বিএনপি।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি সারা দেশে প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা ঘোষণা করেছে। ৬৩টি আসনে প্রার্থী ফাঁকা রাখে দলটি, যার মধ্যে সিলেট-৪ আসন ছিল। আর সিলেট-১ আসনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মুক্তাদিরকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বাসায় তলব করে সিলেট-৪ আসনে মনোনয়ন দিয়েছেন বিএনপি নেতা ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে।বুধবার ৫ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন ও ভার্চুয়ালি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপস্থিতিতে আরিফুল হককে সিলেট-৪ আসনে দল মনোনীত প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।

বুধবার ৫ নভেম্বর ১০টা পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবনে চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকে চেয়ারপারসনের নির্দেশে তিনি ওই আসনে নির্বাচন করতে সম্মত হন।এ প্রসঙ্গে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, দলের উচ্চপর্যায় থেকে তাঁকে সিলেট-১-এর পরিবর্তে বেশ কয়েকবার সিলেট-৪ আসনে প্রার্থী হওয়ার জন্য বললেও তিনি রাজি হননি। গতকাল রাতে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাঁকে সিলেট-৪ আসনে প্রার্থী হতে নির্দেশনা দেন। এ নির্দেশ অমান্য করার সুযোগ নেই।

আরিফুল হক চৌধুরী জানান, দলের চেয়ারপারসনের নির্দেশ আমি কখনোই অমান্য করিনি, করবো-ও না। তাই সিলেট-৪ আসনেই নির্বাচন করবো, সব আল্লাহর ইচ্ছা।তিনি বলেন, চেয়ারপারসন আমাদের জাতীয় মুরুব্বী। অতীতেও দলের প্রয়োজনে আমি বারবার নির্দেশ পালন করে আসছি। সিলেট-৪ আসনে নির্বাচন করার আদেশ মাথা পেতে মেনে নিয়েছি।

সাবেক মেয়র আরিফুলের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, সিলেট-১ আসনে মনোনয়ন না পেয়ে আরিফুল আশাহত হন। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার দলের উচ্চপর্যায় থেকে তাঁকে ঢাকায় জরুরি তলব করা হয়। পরে গত কাল রাত নয় টার দিকে তিনি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর বাস ভবনে দেখা করার ডাক পান।

চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করার সময় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গেও আরিফুল হকের মুঠোফোনে আলাপ হয়। এ সময় চেয়ারপারসন আরিফুলকে সিলেট-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার নির্দেশ দেন। বিষয়টি দ্রুত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দল জানাবে।

এর আগে গত মঙ্গলবার ৪ নভেম্বর কেন্দ্রের জরুরি তলবে ঢাকায় যান আরিফুল। সেখানে তাকে নিয়ে একাধিক দফায় বৈঠক হয়। সবশেষ বুধবার রাত ৯টায় বিএনপি চেয়ারপারসন তাকে ডেকে পাঠান এবং এ সিদ্ধান্ত দেন।

আরিফুল বর্তমানে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে আছেন। এর আগে তিনি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া তিনি সিলেট জেলা বিএনপির সদস্য। এর আগে সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন একসময়ের ছাত্রদলের প্রভাবশালী এই নেতা।

আরিফুল হক চৌধুরী ২০১৩ সালের জুনে তিনি বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানকে পরাজিত করে সিলেট সিটির মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচনে তিনি ৩৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন।

২০১৪ সালে তাকে শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং গ্রেফতার করা হয়। ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে তাকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিভিন্ন আদেশের মাধ্যমে তিনি আবার দায়িত্বে ফিরে আসেন।

২০১৮ সালে চৌধুরী পুনর্নির্বাচনে জয়লাভ করেন, যেখানে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানকে ৬,১৯৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান। তব দলীয় নির্দেশনা মেনে ২০২৩ সালে সর্বশেষ সিটি নির্বাচনে অংশ নেননি।

Google News

নিউজ শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর