1. admin@ajkallondon.com : Ajkal London : Ajkal London
  2. ajkallondon@gmail.com : Dev : Dev
সুনামগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি প্রকল্পের ৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ - Ajkal London
রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৭:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটনে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগ স্মরণীয় হয়ে থাকবে-তথ্য উপদেষ্টা আবারও ৪ বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস হামলা-বাধায়ও থামবে না এনসিপি স্কটল্যান্ডে বিএনপির উদ্যোগে নাসের রহমানকে সংবর্ধনা সুনামগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি প্রকল্পের ৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সিলেট সদর উপজেলা জামায়াতের প্রচার মিছিল ন্যায় বিচার সুনিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সিলেটের সাংবাদিক সমাজ থেমে যাবে না লুটপাটের অর্থ ব্যবস্থাপনায় বিশেষ তহবিল গঠনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার সবাইকে জামায়াতের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জামায়াত আমিরের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নতুন স্পিকার নির্বাচিত

সুনামগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি প্রকল্পের ৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

রিপোর্টার নাম
  • প্রকাশিত : সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫
  • ১৩ বার ভিউ

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে কাজ না করেই তিনটি সরকারি প্রকল্পের প্রায় ৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে স্থানীয় নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মো. আমিন মিয়া সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরূপ রতন সিংহ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কাবিখা, কাবিটা ও টিআর কর্মসূচির আওতায় তিনটি প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হলেও কোনো ধরনের কাজ বাস্তবে হয়নি। কাগজে-কলমে প্রকল্প বাস্তবায়িত দেখিয়ে সম্পূর্ণ অর্থ তুলে নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নোয়াগাঁও গ্রামের মেইন রোড থেকে ছিদ্দিক আলীর বাড়ি এবং সুরাবের বাড়ি থেকে আলী আশরাফের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুনর্নির্মাণ প্রকল্পে ৮ মেট্রিক টন গম (প্রায় ২ লাখ টাকার সমমূল্য) বরাদ্দ হয়, তবে বাস্তবে কোনো কাজই হয়নি। একইভাবে, তিলোরাকান্দি গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুকুরপাড় থেকে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তা উন্নয়নে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও রাস্তা রয়েছে আগের অবস্থায়। এছাড়া ডা. এনামুল হকের বাড়ি থেকে কৃষ্ণতলা পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী মাত্র ৫০ হাজার টাকার কাজ হয়েছে।

নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা নুর আলম বলেন, “চেয়ারম্যান আগেও নানা দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন। এবার তো কাজ না করেই টাকা তুলে নিয়েছেন। আরেক বাসিন্দা মো. মমিন মিয়া বলেন, এই রাস্তায় আমাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যায়। বহুবার বলেছি, এমনকি দাওয়াতেও ডেকেছি, তবুও কাজ হয়নি। এখন শুনি, টাকাই তুলে নিয়েছে! আব্দুল খালিক নামে আরেকজন বলেন, “আমরা এমনিতেই অবহেলিত। তার ওপর কাজ না করে যদি টাকা আত্মসাৎ হয়, তাহলে আমাদের ভবিষ্যত কী?”

অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম বলেন, “আমি এসব প্রকল্পের কোনো কমিটির সভাপতি না। আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়ানো হয়েছে। প্রকল্পে যারা দায়িত্বে ছিলেন, তারাই কাজ করে টাকা উত্তোলন করেছেন। মনিটরিং কমিটির অনুমোদন ছাড়া তো টাকা তোলা সম্ভব না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরূপ রতন সিংহ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

স্থানীয়দের দাবি, প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক, যাতে সাধারণ মানুষের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা কেউ আর আত্মসাৎ করার সাহস না পায়।

Google News

নিউজ শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর