নজরুল ইসলাম,ঢাকা থেকে: দৈনিক ‘আমার দেশ’ এর সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান বলেছেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে গেলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না। বিপ্লবের স্পীরিট (উদ্দীপনা) ধারণ করে লড়াই চলমান রাখতে হবে। ভারতীয় আধিপত্যবাদ আর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে হবে আমাদের লড়াই।
আজ রবিবার (১৭ নভেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ‘জাস্টিস ফর জুলাই’ আয়োজিত ‘শাহবাগ ও ফ্যাসিবাদ এবং নয়া বাংলাদেশের গতিপথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কাছে আমাদের সকলের চাওয়া, তারা দেশকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নিয়ে যাবে। এটি নিয়ে কারও মতভেদ নেই। তবে নির্বাচনের টাইম ফ্রেম নিয়ে মতভেদ আছে। তবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে গেলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না। বিপ¬বের স্পীরিট (উদ্দীপনা) ধারণ করে লড়াই চলমান রাখতে হবে। ভারতীয় আধিপত্যবাদ আর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে হবে আমাদের লড়াই।
মাহমুদুর রহমান বলেন, এই দেশে আর কোনদিন যাতে ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সেই বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।আধিপত্যবাদ রুখতে হলে আমাদের সবদিকে নিজেকে পারদর্শী করে গড়ে তুলতে হবে। ইতিহাস ঐতিহ্যকে জানতে হবে। সেই লড়াইয়ের অংশ হিসেবে দৈনিক ‘আমার দেশ’ কাজ করে যাবে। বাঙ্গলী মুসলমানের আইডেনটিটি তুলে ধরার একটা প¬্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে ‘দৈনিক আমার দেশ’।
ড. মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, ভারতের সাথে ভুটানের একটা ফ্রেন্ডশিপ (বন্ধুত্ব) চুক্তি আছে, যার মাধ্যমে তারা ভুটানের সাথে হেজিমনিক (আধিপত্যবাতী) সম্পর্ক তৈরি করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে তারা ফ্রেন্ডশিপ চুক্তি না করলেও একটা উপনিবেশে পরিণত করেছিল। আমাদের সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে ভারতীয় হেজিমনিকে (আধিপত্য) পরাজিত করার একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে।
মাহমুদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদের যে শিকর গেড়ে বসেছিল তার মূল ভুমিকা পালন করেছিল বাংলাদেশের মিডিয়া এবং সাংস্কৃতিক জগৎ। বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকে সুপরিকল্পিত ভাবে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালানো হয়েছে। বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালানোর জন্য দুটি বয়ান তৈরি করা হয়েছিল। এর একটি ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদ আর একটি ছিল ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এই দুইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটা কালচারাল হেজিমনি তৈরি করে ছিল। আর এর চূড়ান্ত রুপ ছিল শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ যার মাধ্যমে তারা ইসলাম কে হীনবল করতে চেয়েছিল, দুর্বল করতে চেয়েছিল, আমাদের ইসলামিক মূল্যবোধকে উৎখাত করতে চেয়েছিল।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড তাজাম্মুল হক, সহযোগী অধ্যাপক নাসির আহমদ, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নুরুল¬াহ বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মেসবাহ-উল-আজম সওদাগরসহ অন্যান্যরা। এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও জাস্টিস ফর জুলাই, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply