নর্থইষ্ট প্রতিবেদক: বৃটেনে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি মোকাবিলায় আরও এক দফা সুদের হার বাড়ানো হয়েছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড মনে করছে, এরই মধ্যে আর্থিক মন্দায় রয়েছে বৃটেন। ফলে নতুন করে ০.৫ ভাগ সুদ বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে এখন বৃটেনে সুদের হার শতকরা ২.২৫ ভাগ। ২০০৮ সালের নভেম্বরের পরে এটাই সর্বোচ্চ সুদের হার সেখানে। এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি বলেছে, সর্বশেষ সুদের হার বৃদ্ধির পক্ষে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের অর্থ বিষয়ক নীতি নির্ধারণী কমিটি ভোট দিয়েছে। এতে সুদের হার ০.৫ ভাগ বাড়ানোর পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৫ জন সদস্য। বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন ৪ জন। এ নিয়ে বৃটেনে একটানা সাত বার সুদের হার বাড়ালো ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। সর্বশেষ বৃদ্ধির আগে সুদের শতকরা হার ছিল এক দশমিক ৭৫ ভাগ।তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ০.৫ ভাগ। ফলে এখন সুদের হার ২.২৫ ভাগ। ২০০৮ সালে যখন সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয়, তার পর এটাই সর্বোচ্চ হার।
গত ডিসেম্বর থেকে এই সুদের হার ক্রমশ বাড়ছে। চার দশকের মধ্যে তখন থেকেই মুদ্রাস্ফীতি সবচেয়ে খারাপ অবস্থার দিকে ধাবমান। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি পূর্বাভাস দিয়েছে যে, এরই মধ্যে আর্থিক মন্দা রয়েছে বৃটেনের অর্থনীতি। তারা আরও বলেছে, এ বছর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে জাতীয় প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) কমে যেতে পারে শতকরা ০.১ ভাগ। এটি হলো এ বছরের তৃতীয় চতুর্ভাগ। এর মধ্য দিয়ে বৃটেনে উৎপাদিত পণ্য এবং সার্ভিসের সার্বিক পরিস্থিতি অনুধাবন করা যায়। এতে বলা হয়, একটি আর্থিক মন্দাকে সংজ্ঞায়িত করা হয় যখন পর পর দুটি চতুর্ভাগে জিডিপি সংকুচিত হয়। এ বছরের দ্বিতীয় চতুর্ভাগে বৃটিশ উৎপাদন কমে গেছে শতকরা ০.১ ভাগ। এর আগে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড পূর্বাভাস দিয়েছিল যে, বছরের শেষ তিন মাসে জিডিপি ধীর গতির হতে শুরু করবে। তবে তার আগে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে জিডিপি বৃদ্ধি পেতে পারে। কিন্তু তারা এখন দেখছেন, অর্থনীতি তারও আগে সংকুচিত হয়েছে।
Leave a Reply