কমিউনিটি প্রতিবেদক: সেন্টার ফর ব্রিটিশ—বাংলাদেশী পলিসি ডায়ালগ (সিবিপিডির) এর পক্ষ থেকে প্রবাসীদের বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে স্মার্ট ন্যাশনাল আইডি কার্ড প্রদান করার এবং বাংলাদেশ হাই কমিশনের মাধ্যমে পাওয়ার অব এটর্নি করতে ব্রিটিশ পাসপোর্টকে একটি বৈধ আইডি হিসাবে অন্তর্ভুক্তির দাবী জানানো হয়েছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সলিসিটার মোহাম্মদ আবুল কালামের সভাপতিত্বে এবং ব্যরিস্টার তারেক চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী। এছাড়া বক্তব্য রাখেন, ব্যারিস্টার আতাউর রহমান, সলিসিটার সহুল আহমদ মকু, ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন, সলিসিটার জিন্নাত আলী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৯ সালের ৮ই মার্চ লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রবাসীদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা দুটি দাবি উত্থাপন করেছিলাম। আমদের উত্থাপিত দাবি দুটি হলোঃ প্রবাসীদের বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে স্মার্ট ন্যাশনাল আইডি কার্ড প্রদান এবং ৫ বছর থেকে ১০ বছর মেয়াদী বাংলাদেশী পাসপোর্ট ইস্যু করা। ২০২১ সালের ২৫ জুন সংবাদ সম্মেলন করে আমরা এই দুটি দাবীর সর্বশেষ অগ্রগতি প্রবাসীদের কাছে তুলে ধরি। সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, “আপনারা শুনলে খুশি হবেন ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকার ইস্যু করা শুরু করেছেন। এর মধ্য দিয়ে আপাতত পাসপোর্ট সমস্যার সমাধান হলেও দূতাবাসের মাধ্যমে স্মার্ট ন্যাশনাল আইডি কার্ড প্রদানের ব্যাপারে এখনো কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। সেই সাথে নতুন আরেকটি সমস্যার উদ্রেক হয়েছে, যা প্রবাসীদের মারাত্মক সমস্যার মধ্যে ফেলেছে। সেটি হলো হাই কমিশনের মাধ্যমে পাওয়ার অব এটর্নি করার ক্ষেত্রে বৈধ বাংলাদেশী পাসপোর্টের সংযোজন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “ইতিপূর্বে সিবিপিডির উপরোক্ত দাবিগুলোর প্রচারণার অংশ হিসাবে এবং জনমত গঠনের জন্য আমরা ইউকের বেশ কয়েকটি শহর লন্ডন, ম্যানচেস্টার, ওল্ডহাম, স্ক্যানথ্রপ, বার্মিংহাম সহ বিভিন্ন শহরে আমরা সরাসরি, ব্যক্তি এবং সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি এবং আমাদের উপরোক্ত দাবির পক্ষে স্মারকলিপি সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রেরণ করতে সকল প্রবাসীদের অনুরোধ করেছিলাম। আমরা বলেছিলাম আমাদের এই দাবির পক্ষে দল মতের উর্ধে উঠে আমরা কাজ করবো। আপনারা শুনলে খুশি হবেন যে, আমরা বিগত ১২/০৪/২০১৯ তারিখে সিবিপিডির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমের সাথেও সাক্ষাৎ করেছি। অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ বৈঠকে সাঈদা মুনা তাসনিম আমাদের স্মারকলিপি গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট মহলে পাঠানোর পাশাপাশি আমাদের দাবির পক্ষে জোরালো ভূমিকা পালনেরও কথা দিয়েছিলেন। তাছাড়া ও আমরা আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক ভাবে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বিষয়টির প্রতি সরকার মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছি।”
“শুধু সিবিপিডি বললে ভুল হবে আমরা মনে করি বিষয়টি উত্থাপনের পর প্রবাসীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছিলো, সকল প্রবাসীরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়েছিলেন এবং যার যার অবস্থান থেকে বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছেন। আমাদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে ব্রিটেনের অনেকগুলো সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন ও বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি এবং বিশেষ করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্দুল মোমেন এর কাছেও তুলে ধরেছেন। আমরা সিবিপিডির পক্ষ থেকে যারা প্রবাসীদের এই দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই।”
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “বিগত ২৯/০৭/২০১৯ তারিখে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার ডঃ রফিকুল ইসলাম বলেছিলেন ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে ব্রিটেন প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। নির্বাচন কমিশনার প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি লন্ডন সহ ব্রিটেনের দূতাবাসের মাধ্যমে ব্রিটেন প্রবাসীদের স্মার্ট ন্যশনাল আইডিকার্ড প্রদান করা এবং প্রবাসীদের ব্রিটেনে বসে বাংলাদেশের নির্বাচনে সরাসরি ভোট প্রদানের ব্যবস্থারও আশ্বাস দিয়েছিলেন। তাছাড়া প্রবাস থেকে ভোট প্রদানের প্রচলিত আইনের জটিলতা কমাতে আইন সংশোধনেরও আশ্বাস দিয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম আরো কথা দিয়েছিলেন যে বহির্বিশ্বে সিঙ্গাপুরের পর ব্রিটেন হবে দ্বিতীয় দেশ যেখানে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা তৈরির কাজ শুরু করবে। নির্বাচন কমিশনের একটি প্রতিনিধি দলকে ব্রিটেনে পাঠানোরও আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য করোনা মহামারীর জন্য আমরা আর বিষয়টি নিয়ে আগাতে পারিনি। সরকার কিংবা নির্বাচন কমিশন থেকেও এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিতে আমরা দেখিনি।”
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, বিগত ১৪ই জুন ২০২১ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ থেকে মাননীয় বিচারপতি এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমান একটি রিট আবেদনের রুল জারি করার সময় বাংলাদেশে কোর্ট কিংবা থানায় মামলা করার জন্য এনআইডির বাধ্যবাধকতার মৌখিক নির্দেশনা দেন, যা প্রবাসী বিশেষ করে ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের মধ্যে শঙ্কা ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়। বিগত ২৪ জুন ২০২১ মাননীয় হাইকোর্ট নির্দেশনা লিখিতভাবে প্রকাশ করেন। হাইকোর্ট আদালত অথবা থানায় মামলা করার জন্য মোট ৫ টি নির্দেশনা প্রদান করেন, যেগুলো হলোঃ
প্রথম নির্দেশনা — অভিযোগ/এজাহারে অভিযোগকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর, ক্ষেত্রমতে পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করতে হবে। দ্বিতীয় নির্দেশনা — এজাহারকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে সে ক্ষেত্রে এজাহারকারীকে শনাক্তকারী ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর উল্লেখ করতে হবে। তৃতীয় নির্দেশনা— বিশেষ বাস্তব পরিস্থিতিতে জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট নম্বর সহজলভ্য না হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা এজাহারকারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য স্বীয় বিবেচনায় অন্যান্য যথাযথ পদ্ধতি গ্রহণ করবেন। চতুর্থ নির্দেশনা — আদালত কিংবা ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিলের ক্ষেত্রে অভিযোগকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট না থাকলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী অভিযোগকারীকে শনাক্ত করবেন। পঞ্চম নির্দেশনা — অভিযোগকারী প্রবাসী কিংবা বিদেশি নাগরিক হলে সংশ্লিষ্ট দেশের পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
সিবিপিডির পক্ষ থেকে মাননীয় হাইকোর্টের এই নির্দেশনা গুলোকে স্বাগত জানিয়ে বলা হয়, “আমরা মনে করি এই নির্দেশনাগুলো অত্যন্ত যুগোপযোগী এবং বাস্তবতার নিরিখে প্রদান করা হয়েছে। এই নির্দেশনা প্রকাশের পর প্রবাসীদের মধ্যে সৃষ্ট শঙ্কা অনেকাংশে দূরিভূত হয়েছে। অর্থাৎ ব্রিটিশ—বাংলাদেশী প্রবাসীরা এখন থেকে ব্রিটিশ পাসপোর্ট ব্যবহার করে বাংলাদেশের আদালত কিংবা থানায় মামলা করতে পারবেন।”
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, “বাংলাদেশে বর্তমানে জমি কেনা বেচা, ব্যাংক একাউন্ট খোলা কিংবা পরিচালনা, মোবাইল সিম কার্ড কেনা সহ মোট ১২২ টি কাজে এনআইডি কার্ডের ব্যবহারের বাধ্যবাধকতার কথা বলা হয়েছে। আমরা সকারের বাধ্যবাধকতার নির্দেশনার বিপক্ষে নই বরং এই বাধ্যবাধকতার স্বপক্ষে। আমরা মনে করি জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ রকম পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে আমাদের দাবি হলো প্রবাসীরা যাতে সরকারের এই ১২২টি পরিসেবা থেকে বঞ্চিত অথবা পরিসেবা নিতে বিড়ম্বনার শিকার না হোন। প্রবাস থেকে বাংলাদেশে গিয়ে অনেকেই এনআইডি কার্ড নিতে বিড়ম্বনার শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাছাড়া এই কার্ড ইস্যুর দীর্ঘসূত্রীতার জন্য অনেকেই প্রয়োজনীয় কাজ সঠিক সময় সমাধান করতে পারেননা। সেজন্য আমরা প্রবাস মিশন থেকে এই কার্ড ইস্যুর দাবি করে আসছি।”
“আমরা মনে করি হাইকোর্টের এই নির্দেশনা সরকার অনুসরণ করে প্রবাসীদের জন্য খুব সহজে ১২২ টি পরিসেবার দ্বার উন্মুক্ত করে দিতে পারেন। অর্থাৎ হাইকোর্টের পঞ্চম নির্দেশনা যদি সরকার অনুসরণ করেন তাহলে খুব সহজে সরকার প্রবাসীদের এনআইডি নিয়ে বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি দিতে পারেন।
সিবিপিডি নেতৃবৃন্দ বলেন, “আমরা সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি করেছিলাম বাংলাদেশী পাসপোর্ট এবং নো ভিসার ডাটাবেজ ব্যবহার করে প্রবাসীদের এনআইডি প্রদানের। আমরা বলেছিলাম এতে এনআইডি ইস্যু খুব সহজ হবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন থেকে এতোদিন বলা হয়েছিলো কমিশন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ডাটাবেজ অর্থাৎ পাসপোর্ট কিংবা নো ভিসার ডাটাবেজ ব্যবহার করে এনআইডি ইস্যু করতে পারবে না। কমিশনের নিজস্ব ডাটাবেজ লাগবে। যা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন বিশাল অংকের অর্থ এবং সরকারের সদিচ্ছা। আর এই জটিলতা কিংবা টানাপোড়েনের জন্য আমরা মনে করি এতোদিন বিষয়টি আলোর মুখ দেখেনি।”
“পৃথিবীতে যে সকল দেশে এনআইডি চালু আছে, সেসকল দেশে পাসপোর্ট এবং এনআইডি একসাথে আবেদন করা যায় এবং এক সাথে ইস্যু করা ও হয়। একই ডাটাবেজ ও ব্যবহার করা হয়। উদাহরণ স্বরূপ আমরা ইউরোপের দেশগুলোর কথা বিবেচনা করতে পারি। আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি এনআইডি কার্ড বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে। সিবিপিডি মনে করে এর মাধ্যমে প্রবাসীদের আরো সহজে এনআইডি প্রদান সম্ভব হবে। অর্থাৎ পাসপোর্ট কিংবা নো ভিসার ডাটাবেজ ব্যবহার করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খুব সহজে এনআইডি ইস্যু করতে পারবেন।”
সিবিপিডি প্রবাসীদের পক্ষ থেকে অনতিবিলম্বে প্রবাসীদেরকে প্রবাস মিশন থেকে এনআইডি কার্ড ইস্যুর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য এবং গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ১২২ পরিষেবার জন্য এনআইডি কার্ড এর পরিবর্তে প্রবাসীদের জন্য হাইকোর্টের পঞ্চম নির্দেশনা অর্থাৎ বিদেশী পাসপোর্ট অন্তর্ভুক্তির জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “বাংলাদেশ হাই কমিশনের মাধ্যমে ব্রিটিশ—বাংলাদেশীরা দীর্ঘদিন থেকে ব্রিটেন থেকে বাংলাদেশে পাওয়ার অব এটর্নি দিয়ে আসছেন। যেখানে ব্রিটিশ পাসপোর্টকে বৈধ আইডি হিসাবে বিবেচনা করা হয়ে আসছে। সম্প্রতি পাওয়ার অব এটর্নির ক্ষেত্রে আইডির পরিবর্তন করা হয়েছে এবং শুধুমাত্র বৈধ আইডি হিসাবে বাংলাদেশী পাসপোর্টকে গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা হাই কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে বিষয়টি দেখেছি। এজন্য অনেক ভুক্তভুগী হাইকমিশনে গিয়ে শুধুমাত্র বাংলাদেশী পারছেন না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ব্রিটিশ পাসপোর্ট গ্রহণের পর অনেকেই বাংলাদেশী পাসপোর্ট নবায়ন করেননা। সেই সাথে সুনির্দিষ্ট আইনের অভাবে তৃতীয় প্রজন্ম অর্থাৎ যাদের বাবা—মা ছাড়া শুধুমাত্র দাদা—দাদি জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক তারা বাংলাদেশের নো ভিসা থেকে বঞ্চিত। সুতরাং তারা কিভাবে বাংলাদেশী পাসপোর্ট পাবেন আর যদি পাসপোর্ট না পান তাহলে তারা কিভাবে পাওয়ার অব এটর্নি সম্পাদন করবেন? তারা একদিকে বাংলাদেশে গিয়ে ও এনআইডি কার্ডের অভাবে পৈতৃক সম্পত্তি রক্ষনা বেক্ষনের জন্য যেমন কোন প্রকার সুযোগ সুবিধা পাবেননা, ঠিক তেমনি বিদেশ থেকে ও আইডির অভাবে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে পারবেননা। সুতরাং এই পুরো প্রজন্ম বঞ্চিত হবেন।”
এই বিষয়টি নিয়ে সিবিপিডির পক্ষ থেকে ব্রিটেন সফরে আসা বাংলাদেশের এটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এম আমিন উদ্দিনেরর সাথে গত ২৫ জুন লেস্টার শহরে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়। অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ আলোচনায় এটর্নি জেনারেল আমাদের আশ্বস্ত করেন যে বাংলাদেশ হাই কমিশনের মাধ্যমে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের এনআইডি কার্ড প্রদানের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। সেই সাথে আমাদের আশ্বস্ত করেন পাওয়ার অব এটর্নির আইডির বিষয়টি উনি গুরুত্ব সহকারে সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করবেন। এটর্নি জেনারেল আমাদের দৃঢ়তার সাথে বলেছেন প্রবাসীদের সম্পত্তি রক্ষা এবং জটিলতা এড়াতে সরকার খুবই আন্তরিক এবং এর জন্য যা করা দরকার সরকার সব কিছু করতে বদ্ধপরিকর।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সিবিপিডি মনে করে বাংলাদেশ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট ডিভিশনের জুন ২০২১ সালের রায়ের পাঁচটি নির্দেশনা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। আর এই রায়ের পঞ্চম নির্দেশনা অনুসরণ করলে প্রবাসীদের এনআইডি কার্ড এবং পাওয়ার অব এটর্নির সকল জটিলতা দূর হবে। সুতরাং হাইকোর্টের পঞ্চম সংশোধনীর আলোকে ব্রিটিশ পাসপোর্টকে বৈধ আইডি হিসাবে গণ্য করার জোর দাবি জানানো হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, “আমরা মনে করি আমাদের দাবি ন্যায্য এবং যৌক্তিক, এবং আমরা ও দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি বাংলাদেশ সরকার সবসময় প্রবাসীদের ন্যায্য দাবির গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। কিন্তু আমরা যদি সঠিক ভাবে আমাদের দাবিগুলো উপস্থাপন না করি তাহলে আমাদের এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আমরা এই দাবি বাস্তবায়নে সিবিপিডির পক্ষ থেকে দল মতের উর্ধে উঠে সকল প্রবাসীদের যার যার অবস্থান থেকে এই দাবি বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। সকল প্রবাসীদের যার যার অবস্থানে থেকে এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন পর্যন্ত একযোগে কাজ করার আহবান জানাচ্ছি।”
Leave a Reply