কমিউনিটি প্রতিবেদক: অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী বৃটিশ সাংবাদিক ও লেখক পিটার ওবোর্ন তাঁর নতুন বই ‘দ্যা ফেইট অব আব্রাহাম হোয়াই দ্যা ওয়েস্ট রং অ্যাবাউট ইসলাম’ এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে “মুসলিমদের সম্পর্কে গল্প লেখা বৃটিশ মিডিয়ার এক ধরণের শিল্প” বলে মন্তব্য করেছেন।
ইস্ট লন্ডন মসজিদের উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রকাশনা অনুষ্ঠান গত ৯ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লন্ডন মুসলিম সেন্টারের গ্রাউন্ড ফ্লোরে অনুষ্ঠিত হয়। ইস্ট লন্ডন মসজিদের ট্রাস্টি রুহানা আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বইটির লেখক পিটার ওবোর্ন ছাড়াও লীডস ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. সালমান সাঈদ বক্তব্য রাখেন।
প্রায় আড়াই শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত প্রকাশনা অনুষ্ঠানে পিটার ওবোর্ন দ্যা স্পেকটেটর ম্যাগাজিনে তাঁর সাংবাদিকতার দিনগুলি এবং নাইন ইলেভেন এবং সেভেন—সেভেন বোমা হামলার পরে মুসলমানদের প্রতি তাঁর সহকর্মীদের মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের কথা বর্ণনা করে বলেন, “এই ঘটনাগুলো তাঁকে নতুন বই লিখতে প্রেরণা যুগিয়েছে।”
‘বৃটিশ সংবাদ মাধ্যম মুসলমানদের সম্পর্কে যে ঘৃন্য ভাষায় লেখালেখি করেছে’ তা তিনি লক্ষ্য করেছেন। পিটার ওবোর্ন এটিকে “মুসলিমদের সম্পর্কে গল্প লেখার এক ধরণের শিল্প” উল্লেখ করে বলেন, “এই গল্পগুলোর কোনও সত্যতা ছিল কিনা তা তদন্ত করে তিনি তাঁর এই বই লিখতে শুরু করেছিলেন।” পিটার বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গল্প তুলে ধরেন যা ওই সময় বৃটিশ ট্যাবলয়েডগুলিতে ছাপা হয়েছিলো। এর মধ্যে ছিলো মুসলিমরা ‘ক্রিসমাস নিষিদ্ধ করতে চায়’, ‘তরুণ মুসলিম নার্স এবং ডাক্তাররা হাসপাতালের রোগীদের জন্য হুমকীস্বরূপ’। তাঁর তদন্তে এগুলো “নিখুঁত বানোয়াট” প্রতীয়মান হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পিটার ওবোর্ন আরো বলেন, “বৃটিশ মিডিয়া তাঁর এই বইটি সম্পুর্ণভাবে এড়িয়ে গেছে। কেউ তাঁর বইটি রিভিউ পর্যন্ত করেনি। এর একমাত্র কারণ তিনি এই বইয়ে বৃটিশ মিডিয়া সম্পর্কে প্রকৃত কিছু সত্য তুলেছেন।”
উল্লেখ্য, প্রকাশনা অনুষ্ঠানে আলোচনাপর্ব শেষে পিটার ওবোর্ন অটোগ্রাফ দেন এবং পাঠকদের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন। ৫১৪ পৃষ্ঠার বইটি প্রকাশ করেছে সায়মন এন্ড সুস্টার ইউকে পাবলিশার্স। ২৫ পাউন্ড মূল্যের বইটি প্রকাশনা অনুষ্ঠানে হ্রাসকৃত মূল্য ২০ পাউন্ডে বিক্রি হয়। প্রায় শতাধিক কপি বিক্রি হয়।
সাংবাদিক পিটার ওবোর্ন অনেকগুলো বই লিখেছেন। উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে— দ্যা রাইজ অব পলিটিক্যাল লায়িং, দ্যা ট্রায়াম্প অব পলিটিক্যাল ক্লাস, ওন্ডেড ট্রাইগার ও দ্যা এসোলট অন ট্রুথ। তিনি সাউথ ইংল্যান্ডের উইলশেয়ারে বসবাস করেন।
Leave a Reply